Tuesday, August 26, 2014
Saturday, August 2, 2014
আইচ্ছা শীবের লিঙ্গের উপর থেকে নিজে নিজে ফুল লাফিয়ে পরার একটা কাহিনী আছেনা?অনেকে হয়তো দেখেছেন!আমি কিন্তু পরতে দেখিনি, কিন্তু লোকের মুখে বর্ননা শুনেছি ৷(একবার দেখতে গিয়েছিলাম, কিন্তু ফুল পরেনি)
বর্ননায় যা শুনেছি আর ফুল না পরলেও যে কাহিনী দেখেছি তার একটু বর্ননা দেই, কেন ফুল লাফিয়ে বা গরিয়ে পরে তার ব্যাখা পরে দেওয়া যাবে:
4-5 মিটার ব্যাসার্ধ ধরে একটা বৃত্ত আঁকলে ,বৃত্তটি যত ক্ষেত্র ফল স্থান আবদ্ধ করে ঠিক টুকু স্থান আবদ্ধ করে সারি সারি ভাবে গাজা খোর পার্টি বসে থাকে ৷ঐ বৃত্তের কেন্দ্রে মাটি দিয়ে একটা ছোট বেদি মত তৈরী করা হয় ৷বেদির উপর একটা ডাবের মাথার দিকথেকে আনুভুমিক ভাবে কেটে বসানো হয় ৷ঐ ডাবের কাটা সমতল মাথায় একটা শিবের কালো ধোন বসানো হয় ৷তার মাথায় একটা হলুদাভ-সাদা ফুল উলম্বভাবে বসানো হয় ৷তারপর শুরু হয় পূজা ৷পূজা কম্পিলিট হওয়ার পর একজন লোক বোম ভোলা বলে আর মেঝেতে মাথা এবং হাত দিয়ে বারি মারতে থাকে তার কথার সাথে সাথে তাল মিলিয়ে ঐ বৃত্তের মাঝে বসে থাকা গাজাখোর পার্টির সবাই মাতালের মত একই কাজ করে ৷এভাবে কয়েক ঘন্টা চলার পর হঠাৎই নাকি ফুল পরে যায় শীব লিঙ্গের মাথা থেকে৷(যদিও আমি দুই ঘন্টা দারিয়ে দারিয়ে পাগলামি দেখেও ফুল পরতে দেখিনি)
এবার ঘটনার ব্যাখা দেওয়া যাক:
আপনারা হয়তো কম্পনের অনুনাদের কথা শুনেছেন ৷কোন বস্তুর স্বাভাবিক কম্পাঙ্কের সাথে কোন পর্যায় বৃত্ত স্পন্দনের কম্পাঙ্ক মিলে গেলে ঐ বস্তুটা সর্বউচ্চ বিস্তার সহকারে কাঁপতে থাকে ৷সব বস্তুর মত নিরেট মাটিরও এক রকম স্বাভিক কম্পাঙ্ক থাকে সেটা হয়তো আপনারা অনুভব করেছেন যখন রাস্তার পাশে দারিয়ে থাকেন এবং ভারি লরি পাশ দিয়ে চলে যায় ৷এখন কোন স্পন্দন গতি ঐ মাটির স্বাভিক কম্পাঙ্কের সাথে মিলেগেলে মাটি সর্বউচ্চ বিস্তারে কাঁপতে থাকবে ৷যখন মাটির উপর কোন বৃত্ত গঠন করে গোল হয়ে বসে নিদিষ্ট সময় পর পর যদি মাটিতে এক সংঘে আঘাত করা হয় তবে জন্ম নেবে পর্যায় বৃত্ত স্পন্দন ৷এবং গোল হয়ে বসে মাটিতে আলরন সৃষ্টি করার ফলে ঐ আলোরনের শক্তি সব চেয়ে বেশি হবে বৃত্তটির কেন্দ্রে ৷এখন ঐ কেন্দ্রে কোন কম ভারি বস্তু থাকেলে সেটা লাফিয়ে উঠবে ৷
আরও একটা ব্যপার আছে>
একটা বর ফুটবলের উপর একটা ছোট ক্রিকেট বল নিয়ে একসাথে মাটিতে ছেরে দিলে দুই বল এক সাথে মাটিতে পরে ঠিকই কিন্তু ক্রিকেট বলতি ওত্যাধিক পরিমান গতিপেয়ে লাফিয়ে ওঠে কিন্তু ফুটবলটি আর লাফায় না বা কম লাফায় (ফুটবলটি ঐ উচ্চতা থেকে একা পরলে যত উচ্চতা পর্যন্ত লাফিয়ে উঠতো ক্রিকেট বলটির সাথে পরার ফলে ততটুকু লাফায়না) ৷এর কারন ভরবেগের সংরক্ষণ সূত্র দ্বারা পাওয়া যায় ৷ফুটবলটির ভরবেগ ক্রিকেট বলে সঞ্চারিত হয় ৷
এখন ,ওই মাতাল গুলো প্রায় এক সাথে দুই ঘন্টা কি তার বেশি সময় ধরে মাটিতে মাথা দিয়ে ঘা দিতে থাকে ৷ওঐ সময়ের কোন ক্ষুদ্রতম সময়েও যদি ওরা মাটির স্বাভিক কম্পাঙ্কের সমান কম্পাঙ্ক তৈরী করতে পারে কোন ভাবে তবে মাটি সবচেয়ে বেশি উচুনিচু হয়ে নেচে উঠবে আর কেন্দ্রে ঐ কম্পাঙ্কের শক্তির পরিমান সবচেয়ে বেশি হবে যেটা একটা ফুলকে ছুরে ফেলের জন্য যথেষ্ট ৷ছিটকিয়ে চলে যাওয়াটা ঘটে ফুলের তলে নারকেল রাখার জন্য(ঠিক উপরে ফুটবলও ক্রিকেট বল যে আচারন করে) ৷তাইলে বুঝুন কি করে অনুনাদের ফলে শিবের লিঙ্গ থেকে ফুল ছিটকিয়ে পরে ৷
ওরে যে যায়গায় ঐ কাজটা করে সেই যায়গাটা ফাপা হলে একটু ভাল হয় ৷
এতো একটা ফুল ছিকিয়ে ফেলা ৷অনুনাদের জন্যে ব্রিজ ভেঙ্গে যাওয়ার ঘটনা সাইন্সের ছাত্রদের অজানা নয় ৷তাইতো ব্রিজের উপর দিয়ে সৈন্য দলকে যাওয়ার সময় মার্চকরে যেতে নিষেদ করা হয় ৷
আর এই সব বৈজ্ঞানিক ত্বত্ত্বের অপব্যবহার করে ধর্ম ব্যবসায়িরা এত দিন ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রমান করার চেস্টা করে এসেছে ৷আর পাগলা মুরিদ গুলো তাদের সাথে সাথে হোল টেনে গেছে ৷এখন এগুলো ব্যাখা করলেও তারা মানতে চায়না ৷নানা রকম অজুহাত দেখায়
Subscribe to:
Posts (Atom)