আমার ওয়েব

Monday, May 12, 2014

আজ রাতে আমার এমন এক অভিজ্ঞতা হয়েছে ৷যার সম্মুখীন আমি আগে কোন দিন হয়নি ৷ আমায় কাল রাতে বোবায় ধরে ছিল ৷ বোবায় ধরাকি জানেন নিশ্চয় ? না জানলে সমস্যা নেই এক্সপেরিমেন্ট ব্যাখা করছি : একেতে আমি আমার কাকুর জন্য চিন্তায় ছিলাম ৷তার পর ঘুম না আসলেও সবাই যেটা করে আমিও সেটা করলাম ৷আমি ঘুমাতে গেলাম ৷তবে বিভিন্ন কাহিনী কল্পনার কারনে ঘুম আসছিলোনা ৷তাই কিছু সময় পর পর এপাশ ও পাশ করছিলাম ঘুম আনার জন্য ৷অন্য দিন হলে ফেসবুক ব্যবহার করতাম তবে কালকে ফেসবুক ব্যবহার করার মুডছিল না তাই চুপ চাপ শুয়ে থাকলাম ৷ঘুমিয়ে গেছিকিনা এটাই চেক করতে যেয়ে বারবার যাচ্ছিলো ঘুম ভেঙ্গে ৷আর মনে হচ্ছিলো আর ঘুম হবে না ৷আমার রুমের লাইট জ্বালিয়ে রেখে আমি ঘুমাই ৷এক সময় চোখুলে দেখলাম আমি সবই দেখতে পাচ্ছি কিন্তু হাত পা নারাতে পাচ্ছিনা ৷তার পর কতখন যে এমন অবস্থায় ছিলাম জানিনা তবে সকালে ঘুম ভাঙ্গলো এলার্মের শব্দে৷ কোন কুসংস্কার আচ্ছান্ন ব্যক্তির এমন ঘটলে সে নির্দিধায় বলতো তাকে ভুতে ছুপে ধরেছিলো ৷আপনি তাকেই যতই বিজ্ঞানিক ব্যাখা দেন না কেন সে বলবেই বলবে,তাকে কেউ একজন ছুপেছে ৷কারন মানুষ নিজের চোখকে অবিশ্বাস করতে পারেনা ৷তো আমিতো আর তেমন নই ৷আমি বিজ্ঞানীক ব্যাখা বিশ্বাস করি ৷কারন একটা মানুষ অনেক সময় ভুল দেখতেই পারে মস্তিষ্কে অক্সিজেনের সাপ্লাই কমে গেলে ৷তো সকালে বিজ্ঞান ব্যখাটা পাওয়ার জন্য আমাদের গুগোল বাবাজির সরনাপন্য হোলাম ৷ দেখলাম অনেক বৈজ্ঞানিক ব্যখার সাথে অনেক কবিরাজি ব্যাখাও আইছে ৷তবে ওদিকে আমি যাচ্ছিনা ৷ আসল ব্যাখাটাই করি ৷ আমাদের ঘুমের দুইটা পর্যায় আছে ৷ সাধারন ভাবে বলতে পারি একটা গভির ঘুম পর্যায় ৷ও আরেকটা সাধারন ঘুম পর্যায় ৷একটা মানুষ ঘুমিয়ে পরলে প্রথমে সাধরন ঘুম অবস্থায় যায় ৷তার পর তার ঘুম গভির হতে থাকে ৷ঘুমিয়ে পরার দুই ঘন্টা পর একটা মানুষ সাধারন ঘুম থেকে ডিভ ঘুমে যায় ৷এবং ডিভ ঘুমের স্থায়িত্ব পাঁচ মিনিট থেকে দশ মিনিট হয় ৷এই সময় মানুষ স্বপন দেখে ৷আর তার চোখ বন্ধ অবস্থায় নরে ৷কারন মানুষ সারাদিন যা কিছু শেখে এই সময়ই মস্তিষ্কের নিউরনে নতুন সাইন্যাপ্স তৈরী মাধ্যমে সে গুলো মাথায় জমা হয় ৷একারনে সেই সময়ই শুধু মাত্র মানুষ স্বপন দেখে ৷একজন মানুষ ছয় ঘণ্টা ঘুমালে সে এই ডিপ ঘুমে তিনবার যায় ৷আর তিনবারই তার মাথায় তথ্য সেভ হয় ও সে স্বপন দেখে ৷তবে একটা মানুষ আট ঘন্টার উপরে ঘুমালে তার আর ঘুম ডিপে যায়না তবে সে স্বপন দেখতেই থাকে জেগে ওঠার আগ পর্যন্ত ৷এ সময় কিন্তু কোন সেভিং প্রক্রিয়া চলেনা ৷ এবার বলছি কি ভাবে বোবায় ধরার অনুভুতি হয় ৷ধরেন আপনি ঘুমাচ্ছেন কিন্তু আপনি জানতেন না যে আপনি ঘুমিয়ে পরেছেন এবং ডিব অবস্থায়ই আছেন ৷এখন ধরেন আপনি ঘুমের ডিব অংশে চলে গেছেন ,এমন সময় আপনি ঘুমিয়ে আছেন কি না চেক করত চাইলেন ৷তার জন্য মস্তিস্কের একটা অংশ সংক্রিয় হয়ে আপনার চোখ খোলাবে ৷কিন্তু আপনার মস্তিষ্কের যে সব অংশ হাত পার নরা চরা নিয়ন্ত্রণ করে সে গুলো সংক্রিয় থাকেনা ৷তাই ঐ সময় আপনি দেখবেন আপনি সব কিছু দেখতে পাচ্ছেন কিন্তু হাত পা এমনকি মাথাও নারাতে পারচ্ছেন না ৷ এই অবস্থাকে বোবায় ধরা বলে ৷তাহলে দেখছি কোন মানুষের ঘুম যদি ঘুমের গভির পর্যায় চলাকালে ভেঙ্গে যায় তবে সে বোবায় ধরার অনুভুতি পাবে ৷ অনেকে বোবায় ধরার অভিজ্ঞতা বলার সময় বলে যে সে এক প্রকার প্রানি দেখতে পেয়েছে যেটা তার গায়ের পর বসে ছিল ৷ এর ব্যাখা হল একটা মানুষ যখন বোবায় ধরা অবস্থায় চলে যাবে তখন সে মনে করবে সে জাগ্রত (কিন্তু জাগ্রত নয়) কিন্তু যখন দেখবে সে হাতপা নারাতে পাচ্ছেনা তখন মনে করবে কেউ তাকে ধরে রেখেছে ৷আর ঘুমান্ত অবস্থায় কি হয়?কোন ব্যক্তি যেটাই কল্পনা করে সেটাই সামনে আসে ৷বোবায় ধরা টাইমে চোখ খোলা রাখলে প্রকৃতিক ভাবে কিন্তু সে ঘুমাচ্ছে ৷আর এই টাইমে যেহেতু স্বপন দেখার সময় তাই তার এই ঘুমন্ত অবস্থায় সে যে স্থান তার চোখে দেখতে পায় সেখানে বাস্তব জিনিসের সাথে সে কিছু অবস্তব কেরেক্টার দেখতে পায় তার কল্পনার মিলরেখে ৷ এবার বুঝুন কালকে আমি এই অবস্থায় ছিলাম কিনা! যেটা আমি প্রথমে ব্যাখা করেছি ৷


No comments:

Post a Comment