Tuesday, June 17, 2014
একটি হ্যালোজেনেশানের ঘটনা ------------------------------------- 2007 এর ঘটনা! আমি তখন রাজশাহী থাকতাম পরাশোনা করার জন্য ৷ তো আমি থাকতাম আমার কাকার সাথে ৷আমার কাকা রাজশাহীতে জব করতো তাইতো রাজশাহীতে গিয়েছিলাম ৷কারন একটা মানুষ যেমন তার মাকে দুরে থুয়ে থাকতে পারেনা আমিও তেমনি কাকাকে ছেরে থাকতে পারতাম না ৷ তো এক সময় আমার জ্বর হয় (তখন কাকা গ্রামের বারি গিয়েছিল ঘুরতে, আমার বারি যেতে ভাল লাগতো না তাই যায়নি) ৷পাশে কেউ নেই, বারি ফোনকরেও বলতে লজ্জা লাগছে৷কারন ফোন করলেই কাকা তার ছুটি না কাটিয়ে চলে আসতো, যা আমি চাইনি কারন ডাক্তাররা এমনই ছুটি পায়না ৷তাই নিজের ঔষধ নিজেই খেতাম ৷একটা হোটেল থেকে খাওয়া দাওয়া করার কথা ছিল, কিন্তু জ্বর হয়েছিল বলে যেতে ভাল লাগতো না (খুব খিদে না লাগলে যেতাম না)৷ আমাদের ফ্লাটের পাশে একটা মেয়ে থাকতো যার সাথে আমার কানেকটসান ছিল ৷ও ওখানে থাকলে হয়তো কোন সমস্যা হত না কিন্তু ওরাও ছুটিটে তাদের গ্রামের বারি গিয়েছিল ৷বলতে গেলে আমি ঐ বিল্ডিংএকা ছিলাম (হয়তো আরও কেউ ছিল আমি জানতাম না ) ৷ তো একবিকালে (তখনও প্রবল জ্বর চলছে) ঘুম থেকে উঠে দেখি শ্বাস কষ্ট হচ্ছে তার সাথে জ্বালার ওপর পালার বারি যে কারেন্ট নেই ৷তাই রুমে থাকতে পারলাম না ,আস্তে আস্তে সিরি বেয়ে ছাদে চলে আসলাম ৷বলে রাখি ওর আগের দিন রাত থেকে বিকাল পর্যন্ত কিছুই খাইনি সকালে কয়েকটা ফল ছারা ছাদে যখন গেলাম তখন শুনলাম পাশের বিল্ডিংএর ছাদ থেকে ইট ভাঙ্গা বা ইটের উপর দার কোপ মারলে যে শব্দ হয় এমন হচ্ছে ৷প্রথমে মনে করলাম কোন ছোট ছেলে বা মেয়ে হয়তো এমনই খেলা করছে তাই গুরুত্ব দিলাম না ৷কিন্তু পরেক্ষনে যখন মনে পরলো ঐ বিল্ডিংএ লোক থাকেনা তখন মাথায় বিদ্যুতের চমক খেলে গেল আর সব লোম গেল দারিয়ে ৷আমি বাউন্ডারির পাশে গিয়ে বল্লাম কে? তাও শব্দ বন্দ হল না তবে দেখলাম একটা কাল ল্যাংটা মেয়ে দারিয়ে মুখ ভ্যাংচি দিয়ে আবার বসে পরলো ৷ মানুষ যুক্তির চেয়ে নির্ভরযোগ্য মনে করে তার নিজের চোখকে ৷তাই আমারও তার ব্যতিক্রম হয় কি করে ? তাই জ্বর মাথাও দৌরিয়ে চলে গেলাম সিরি ঘর পর্যন্ত ৷সিরির ওখানে যেয়ে খেয়াল হল ব্যপারটায় অন্যকিছু আছে ৷তাই আবার ছাদে উঠলাম শুমলাম তখনও একই রকম শব্দ হচ্ছে তবে ওটা পাশের বারির ছাদ থেকে আসছেনা ৷ওটা আসছে পাশের আর একটা বারি তৈরী হচ্ছে সেখান থেকে ৷ এমন হওয়ার ব্যাখা কিন্তু আমার কাছে আছে ৷ঐসময় আমার দমের কষ্ট হচ্ছিল তাই বলা যায় মস্তিস্কে অক্সিজেন কম যাচ্ছিল ৷আমি যখন ছাদে যাই তখন আমার কান ঠিক যে বারিতে কাজ হচ্ছিল সেই শব্দ শুনে ছিল ৷কিন্তু মস্তিস্কে অক্সিজেনের অভাবে লোকেশান নির্নয় করতে ব্যার্থ হয় আর আমি শুনি শব্দটা নির্জন বারিথেকে আসছে ৷তখনি আমার অবচেতন মন বিশ্লেষণ করে দেখে ঐ বারি লোক থাকে না যার ফলে অবচেতন মন ভয় পায় ও উল্টা পাল্টা দেখা শুরু করে ৷ স্বপন দেখার সময় আমরা যে ক্যারেকটার কল্পনা করি অবচেতন মন তার আকার দেয় ৷তেমনই আমি ভয় পেয়ে একটা ক্যারেকটার বানাই কারন আমার মনে যাগে কেউ না থাকলে শব্দ করছে কে? যখনি আমি ডাক দেই কে কে বলে আর তখনই শুরু হয় অবচেতন মনের খেলা ৷ এই হ্যালোজেনেশান হওয়ার কিছু কারন হল> অতিরিক্ত নামা ও h+ খাওয়া এবং সাথে ভাত না খাওয়া ৷ মানুষ ঘোরের ভিতর না থাকলে তার হ্যালোজেনেশান হয় না ৷
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment