আমার ওয়েব

Sunday, June 8, 2014

একটি বৈজ্ঞানিক ব্যাখা ------- সবারই বুদ্ধি নির্ভর করে তার ছোটবেলার বেরে ওঠা পরিবেশের উপর ৷ দেখাযায় একই পরিবেশে বেরে ওঠা মানুষদের বুদ্ধি প্রায় একই রকম ৷তবে আপনারা মনে করতে পারেন একই পরিবেশ বলতে শুধু যে একটা বারির পরিবেশ বলেছি ,তা কিন্তু না ৷একটা বারির দুইটা সন্তানের বুদ্ধি মত্তা প্রায় এক রকম হতেও পারে না হতেও পারে ৷কারন দুইজনের কাছে একই বারির পরিবেশও ভিন্ন হতে পারে ৷কিন্তু দুইটা আলাদা পরিবারের দুইটা শিশু যখন একই বুদ্ধি মত্তা ধারন করে তখন বলতেই হয় তাদের ছোটকাল থেকে বেরে ওঠার পরিবেশ প্রায় একই ছিল ৷ আমি মনে করি প্রায় সব নাস্তিকদেরই বুদ্ধিমত্তা প্রায় একই(তবে বয়সের উপর কিছুটা নির্ভর করে, তবে বয়স যদি একই হয় তবে বুদ্ধি মত্তা প্রায় একই হয়) ৷ এটা এক ভাবে প্রমানও করা যায়: যখন দুইটা ব্যক্তির বুদ্ধি মত্তা একই হবে তখন তারা বিভিন্ন সিদ্ধান্ত একই ভাবে নেবে ৷যার ফলে জীবন যাত্রায় এক জনের সাথে আরেক জনের মিল থাকবে৷ এখন দেখা যায় প্রায় সব নাস্তিকদের জীবন যাপন পদ্ধতি একই,যেমন: ১,সব নাস্তিকরাই সৃজনশীল হয় বা এধরনের কাজে যুক্ত থাকে৷ ২,একটু ঘর কুনো (অসমাজিক) সভাব থাকে ৷ ৩,কল্পনাশক্তি অত্যান্ত প্রখর হয় ৷ ৪,কোন বিষয়ে সহজে আচ করতে পারে কি ঘটছে ৷ ৫,সবচেয়ে বর মিল হল সবাই যুক্তি বাদি ৷ ৬,প্রায় সবাই ভাল ডিজাইন ও করতে পারে ৷ ৭,কথাবলার স্টাইল একটু খারাপ ৷ ৮,খেলাধুলায় কম পারদর্শী ৷ এর কারন কি? এর কারন আর কিছু নয়,কারন হল মস্তিষ্কের একই রকম গঠন ৷মানুষের অগ্র মস্তিস্ক নামে মস্তিষ্কের একটা সামনের অংশ বারতি আছে বলে মানুষ এত পরিমানে বুদ্ধিমান ৷তো এই অগ্রমস্তিষ্ক দুই ভাগে বিভক্ত ,ডান ও বাম ৷এই দুই অংশ সেরেব্রাল কর্টেক্স নামক স্নায়ু দ্বারা যুক্ত থাকে ৷দেহের ডান অংশ নিয়ন্ত্রণ হয় বাম মস্তিস্ক দ্বারা এবং বাম অংশ নিয়ন্ত্রণ হয় ডান মস্তিষ্ক দ্বারা ৷এমন কি দেহের যে সব ইন্দ্রিয় ডাবল তাও এই পদ্ধতিতে ভাগ হয় ৷ আর একটা বিষয় হল এই দুই মস্তিষ্ক একই রকম কাজ করেনা ৷ সমস্ত যুক্তি ,ভাষা,কথাবলার স্টাইল, গনিত মস্তিষের বাম অংশে থাকে ৷এখান থেকে এই অংশ নিয়ন্ত্রিত ৷ তবে এই চারটির ভিতর দুইটা দুইটা সম্পর্কিত ৷যুক্তি আর গনিত একটা ভাগে এবং ভাষা আর কথা বলার স্টাইল আরেক ভাগে ৷ এবার মস্তিষ্কের ডান অংশ ৷এই অংশে নিয়ন্ত্রণ হয় ছবি আকা,কল্পনা, গান,খেলাধুলা,সংস্কৃতি মনা ৷ এখানেও ছবিআকা,কল্পনা একটা ভাগে ৷বাকি তিনটি আরকটা ভাগে থাকে ৷ আর বেশি ঘোলালাম না৷এবার আসল কথা ,এখানে ব্যখ্যা দেব সব নাস্তিক কেন এক রকম ৷তার আগে আর কিছু ব্যপার বলি ৷একজন মানুষ মস্তিষ্কের যে অংশ বেশি ব্যবহার করে সেই অংশ বেশি উন্নত হয় বাকি অংশ অন্নুত হয়ে যায় ৷উদাহরন দেই: দেখবেন কানা দের স্মৃতি শক্তি ভাল হয় আর বোবাদের বোঝার ক্ষমতা ৷কারন তারা মস্তিষ্কের ঐ অকেজো অঙ্গের সংশ্লেষিত অংশ ছোট বেলা থেকে ব্যবহার না করায় ঐ অংশ ব্যবহৃত হয় অন্যকাজের দ্বারা ৷আর যে কাজে ঐ অংশ ব্যবহৃত হয় সেই অংশ উন্নত হয় ৷ এবার আমার ছোটবেলার পরিবেশ দ্বারা বোঝাবো কি করে আমার কি হয়েছে ৷ মনে হয় আগেও এই কথা বলেছি যে ছোট বেলায় আমি বারি থেকে বের হতাম না ৷যার ফলে আমার মস্তিষের বাম অংশের ভাষার ব্যবহার ও কথাবলার ভাগটা আমি ব্যবহার কম করতাম ৷এবং ছোটবেলা থেকে ভাবনা চিন্তা করতাম বিভিন্ন বিষয়ে যার ফলে আমার মস্তিষ্কের দুই অংশে (বামে ও ডানে) গনিত ও কল্পনার ভাগটায় কাজ বেশি করতাম যার ফলে এই ভাগ দুইটা তার পাশের অংশ দখল করে (কথাবলার স্ট্যাইল,খেলাধুলা)৷এ কারনে আমি হয়ে উঠি যুক্তি বাদি এবং প্রচুর কল্পনা শক্তির অধিকারী ৷একই সাথে মার যায় আমার ভাষা,কথাবলার স্টাইল,খেলাধুলা ও সংস্কৃতি মনাত্ব ৷আর উন্নত হয়ে উঠি যুক্তি,গনিত,অঙ্কন,কল্পনায় ৷ এটা শুধু আমার বেলায় নয় প্রায় সব নাস্তিকের মস্তিষ্কের এমন গঠনের জন্য দায়ি বেরে ওঠার পরিবেশ৷ এখন আরেকটা ব্যপার এখনো বাকি তাহলো কোন ব্যপারে বোঝার ক্ষমতা ৷আর এটা নির্ভর করে ডান বাম উভয় মস্তিক্ষের যুক্তি ও কল্পনার উপর ৷এবং এদের সংযোগ কারি স্রেরিব্রাল কর্টেক্সের উপর ৷ আমরা যখন কোন বিষয়ে বোঝার চেস্টা করি তখন একই সাথে আমরা সে বিষয়ে কল্পনা করি সাথে সাথে যুক্তি দেই ৷যেমন·অনেকে কোন জিনিস বোঝার সময় বলে"তাইলে এভাবে করলে এমন হবে আর ঐ করলে হবে অমন" আর এজন্য যাদোর কল্পনা শক্তি ও যুক্তি অত্যাধিক ভাল তারা কোন বিষয় সহজে বুঝতে পারে ৷আর যারা সহজে কোন ব্যপার বুঝতে পারে তাদের কাছে ঈশ্বরের গাজা খুরি কাহেনির ভুল ধরাও কোন ব্যপার না ৷ তাই বলা যায় এক জন নাস্তিক কি ও আস্তিক হবে সেটা তার মস্তিষ্কের উপর নির্ভর করে ৷


No comments:

Post a Comment