Thursday, June 26, 2014
আব্রাহামিক ধর্ম গুলোয় একটা গল্প প্রচালিত যে"যখন আল্লা আদম আর হাওয়াকে সৃষ্টি করার পর ইবলিশ কে বল্ল এদের সিজদা দেও৷কিন্তু ইবলিশ আগুনের তৈরী তাই সে সীজদা দেই নি আল্লাহর আদেশ অমান্য করে! যার জন্য তাকে পৃথিবীতে আসতে হয় স্বর্গ ছেরে আর সে শয়তান হয়েগেল " সূরা কাহাফের ৫০ নম্বর আয়াতে আল্লাহ(ঈশ্বর ছদ্মবেশে মহাবদ) বলেছেন- ﻭَﺇِﺫْ ﻗُﻠْﻨَﺎ ﻟِﻠْﻤَﻠَﺎﺋِﻜَﺔِ ﺍﺳْﺠُﺪُﻭﺍ ﻟِﺂَﺩَﻡَ ﻓَﺴَﺠَﺪُﻭﺍ ﺇِﻟَّﺎ ﺇِﺑْﻠِﻴﺲَ ﻛَﺎﻥَ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺠِﻦِّ ﻓَﻔَﺴَﻖَ ﻋَﻦْ ﺃَﻣْﺮِ ﺭَﺑِّﻪِ ﺃَﻓَﺘَﺘَّﺨِﺬُﻭﻧَﻪُ ﻭَﺫُﺭِّﻳَّﺘَﻪُ ﺃَﻭْﻟِﻴَﺎﺀَ ﻣِﻦْ ﺩُﻭﻧِﻲ ﻭَﻫُﻢْ ﻟَﻜُﻢْ ﻋَﺪُﻭٌّ ﺑِﺌْﺲَ ﻟِﻠﻈَّﺎﻟِﻤِﻴﻦَ ﺑَﺪَﻟًﺎ ( 50 ) “(স্মরণ কর) যখন আমরা ফেরেশতাদের বলেছিলাম, আদমকে সিজদা কর,তখন ইবলিস ছাড়া সবাই সিজদা করল; সে ছিল জিন জাতির অন্তর্ভুক্ত এবং সে তার প্রতিপালকের আদেশ লঙ্ঘন করল। তবে কি তোমরা আমাকে ত্যাগ করে তাকে এবং তার বংশধরকে তোমাদের অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করবে? অথচ তারা তোমাদের শত্রু। এটা তো জালেমদের জন্য নিকৃষ্টতম বদল বা প্রতিস্থাপন।”(১৮:৫০) এখান থেকে দেখা যায় আল্লাহ একজন কে বলছ আরেক জন কে সিজদা করতে ৷ তাইলে, এখানে আল্লার ডায়লোগ হল তুমি আমার ব্যতিতো অন্য কাউকে সিজদা করলে আমার কোন সমস্যা নেই ৷ আবার, কুরান হাদিসের বিভিন্ন স্থান থেকে এটা পাওয়া যায় "আল্লাহ ছারা আর কাউকে সিজদা করা শিরিক বা পাপ " তাইলে বলা যাচ্ছে এই খানে আল্লা চান না কেউ আল্লা ব্যতিতো অন্য কাউকে সিজদা করুক ৷আমার কথা হল "যে আল্লাহ, কখনও সইতে পারেনা যে একজন তার ব্যতীত অন্যকাউকে সিজদা করুক সে কি করে তার সামনে ইবলিস কে বলতে পারে তুমি আদমকে কে সিজদা কর?এটা স্ববিরোধী নয়কি?" তাইলে ব্যপার দুইটি বিপরীত হয়ে যাচ্ছে না? হয় আল্লাকে ব্যতিতো অন্যকে সিজদা করলে আল্লা রাগ করেন না ৷ আর তা না হলে আল্লা রাগ করেন ৷ উপরের দুইটা ব্যপার কখনো এক সাথে সত্য হবে না ৷ আবার এক সাথে দুইটা ব্যপার কে সত্য হওয়া লাগবে না হলে কুরান হলে মিথ্যা প্রতিপন্ন হবে ৷কিন্তু এক সাথে দুইটা কখনো সত্য হবে না আগেই প্রমানিত ৷ তাহলে, দেখা যাচ্ছে কুরান হাদিস মিথ্যা ৷
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
হযরত আদম (আঃ)হলেন আদিম পিতা আর মানুষ। আর আল্লাহ্র সৃষ্টির সর্বশ্রেষ্ঠ হল মানুষ। আল্লাহ্ কিন্তু শুধু সেই সমুয়ে আদমকে সিজদা করতে বলেছিল সবার আনুগত্যটা দেখার জন্যে। সবাই মীছিল ইবলিশ বাদে। তাই এতে মিথ্যার কিছু নাই। আল্লাহ্ তায়ালা আর কোথাও কিন্তু অন্য কাউকে সিজদা করতে বলেন নাই।
ReplyDelete