আমার ওয়েব

Tuesday, July 1, 2014

আস্তিকরা বিবর্তন বাদ মানতে চায় না ৷একটা বিষয় মানতে চাওয়া না চাওয়া তার ব্যপার তাতে আমার হস্ত ক্ষেপের কোন স্থান নেই ৷কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এই আস্তিকদের বেশির ভাগই জানেনা, বিবর্তন বাদ আসলে কি ?বিবর্তন সম্পর্কে তাদের যা জ্ঞান তা হল লোকের মুখে শোনা ৷কোনদিন কোন সময় এই সম্পর্কে পরাশোনা করেনি ৷তার পরও যখন নাস্তিকরা বিজ্ঞানিক উপায়ে বিবর্তনের কথা বলে ওদের পাছা জ্বলে এবং ঘেউ ঘেউ শুরু করে ৷এটাই আমার সমস্যা ৷ওরে ব্যাটা তুই যে ব্যপারে জানিসনা তাতে নাক গলাস কেন? এখন এই আস্তিকরা বিশ্বাস করে শুধু মাত্র মানুষ স্বর্গ থেকে বিচ্যুতি ঘটিয়ে পৃথিবীতে এসেছে (এটা কারও অজানা নয়) ৷ যখন নাস্তিকরা বলে মানুষ বিবর্তনের পথে আদিম তম প্রাইমেট থেকে সৃষ্টি হয়েছে ৷তখন দেখি ছাগুরা এটা ভুল প্রমান করার জন্য বিবর্তন থিউরি নিয়ে টানা টানি করে ৷তারা বলতে চায় "কখনো একটা প্রান এমনই এমনই তৈরী হওয়া সম্ভব নয় ৷সম্ভব যদি হত তাহলে এখন হয় না কেন?কোন প্রানি যদি পরিবর্তন হয়ে অন্য প্রানি তৈরী হয় তবে এখন হচ্ছেনা কেন?বানর থেকে মানুষের সৃষ্টি হলে মানুষ থেকে বানরের সৃষ্টি হয়না কেন? ৷এই জাতীয় ছাগু প্রশ্নের উত্তর এই পোস্টে দেব তার আগে কয়েকটা বিষয়ে আলোচনা করি ৷ মানুষ যে অন্য প্রানিথেকে সৃষ্টি নয় এটা প্রমান করার জন্য মুমিনরা বিবর্তন বাদ থিউরি ভুল প্রমানের ব্যার্থ চেস্টা চালায় বিবর্তন সম্পর্কে কিছু না জেনেই ৷তাদের কথা হল কোন প্রান নিজে তৈরী হওয়া সম্ভব নয় ৷ প্রশ্নের খাতিরে প্রথমে ধরে নিলাম মানুষ স্বর্গ থেকে এসেছে এবং অন্য কোন প্রানি থেকে সৃষ্ট নয় ৷"তাহলে পৃথিবীতে মানুষ বাদেও যে লক্ষ্য প্রজাতির প্রানি আছে তারা কোথা থেকে আসল? "এই প্রশ্নটা মুমিনদের কাছে করছি ৷ এটার উত্তর দিতে গেলেএতো আমাকে বিবর্তনের সাহায্যে ব্যাখা দিতে হবে তাইনা? কারন কোন ধর্মগ্রহন্থে এই সম্পর্কে কিছু বলেনি ৷তাইলে এ ব্যাপারে বিবর্তন টেনে আনলে এখন মুমিনদের সমস্যা থাকার কথা না কারন মানুষকে এর বাইরে বাদ দিয়েছি ৷ এখন কথা হল এত প্রানি যদি একটা প্রাক-কেন্দ্রিক কোষ থেকে বিবর্তনের ফলে তৈরী হতে পারে তাহলে মানুষের এর ভিতর ফেলতে সমস্যা কোথায় ৷বিবর্তন বিষয়ে অন্যপ্রানির নিয়ে যত গবেষণা চলেছে তার চেয়ে বেশি গবেষনা চলেছে মানুষ নিয়ে ৷এবং প্রত্যকটা পরিক্ষার ফলই বিবর্তন বাদকে সমার্থন করে ৷কিছু লোক আছে তারা এই পরীক্ষার ফল সরাসরি প্রকাশ করে ধর্ম অন্ধ বোকাদের চোখে খারাপ হতে চায় না ৷কারন এই পরীক্ষা গুলো সরাসরি আদম ইভ থিউরি নাকচ করে ৷তাই সেই ফল প্রকাশের সময় তারা বলে থাকে বিবর্তনের প্রমান পাওয়া গেছে এবং এই এই বলে তাইকি পুরোপুরি সিওর হওয়া যায়না ৷আর এই হেয়ালীপনা কথার জন্য ধর্ম ব্যবসায়ীরা (জোকারের মত লোক)তাদের ধর্ম প্রচার করার সময় বলে "বিবর্তনের প্রমান হইনি তাই এটা মিথ্যা " ৷এতে আস্তিকরাও লোকের মুখে(ভন্ডদের) শোনা কথায় নাস্তিকদের খোচাদিতে আসে ৷ মুমেনর প্রশ্ন:কখনো একটা প্রান এমনই এমনই তৈরী হওয়া সম্ভব নয় ৷সম্ভব যদি হত তাহলে এখন হয় না কেন? উত্তর:প্রথম যে কোষ বা ভাইরাস তৈরী হয়েছিল সেটা পৃথিবী তৈরী হওয়ার প্রায় 500 কোটি বছর পর ৷তাও ছিল আকোশিক ৷এমন আকোশিক ঘটনা 50 বছরে ভিতর ঘটার সম্ভনা প্রায় নেই বল্লেও চলে ঘটলেও আমরা বুঝতে পারবোনা কারন ঐ কোষ বিবর্তনের পথে পরিবর্তিত হতে হতে বহুকোষীতে রূপান্তরিত হতে কয়েক লক্ষ বছর লাগবে ৷তাই এটা আপনার সংক্ষিপ্ত জীবনে দেখা সম্ভব নয় ৷ ছাগু প্রশ্ন:কোন প্রানি যদি পরিবর্তন হয়ে অন্য প্রানি তৈরী হয় তবে এখন হচ্ছেনা কেন? উত্তর:কে বলেছে হচেছ না ?প্রতিনিয়ত প্রতি সেকেন্ডে হচ্ছে ৷আপনি চোখ খোলা রাখলেই দেখতে পারেন ৷ এর আর একটা প্রমান আছে ৷বিভিন্ন দেশের লোক বিভিন্ন রকম ৷এটা দেখে বোঝা যায় ৷ তবে এই পরিবর্তন গুলো এত ধিরগতি সম্পন্ন যে এক জনের লাইফ টাইমে এটা উপলব্ধি করা সম্ভব নয় ৷তার পরও যেহেতু দেখা যায় একটা প্রজাতী আবহাওয়া খাদ্য অভাস্যের ভিন্নতার কারনে আস্তে আস্তে ভিন্ন জাতীতে পরিবর্তন হয় তাই বলা যায় কয়েক লক্ষ বছর পর এই জাতী গুলোর পার্থক্য এত প্রবল হবে যে নতুন প্রজাতির উৎপত্তি হবে ৷যেমন মানুষ প্রজাতি 50 লক্ষ্য বছরে নানা ভাবে পরিবর্তন হয়েছে আরও হবে ৷উদাহরন: আফ্রিকার বেটে মানুষ ও ভারত উপমহাদেশের মানুষ ৷তাহলে পরিবর্তন হচ্ছেনা এ ধারনা ভুলনয় কি? ছাগু মার্কা সবচেয়ে বেশি বার করা প্রশ্নটি: বানর থেকে মানুষের সৃষ্টি হলে মানুষ থেকে বানরের সৃষ্টি হয়না কেন? উত্তর:আগে বিবর্তন বাদ থিউরির মুল বক্তব্য কি সেটা বলি ৷ একটা প্রজাতি সব সময় পরিবর্তন হয় এবং শেষ পর্যন্ত তারাই টিকে থাকে যারা ঐ পরিবর্তিত পরিবেশে মানান সই আকারে বেরে ওঠে ৷উদাহরন : প্রাচিন বরফ যুগে হাতিদের ম্যামাথ বলে ৷এরা ছিল প্রচন্ড পরিমানে বর ও লোমে ঢাকা ৷এরা পরিবর্তন হতে হতে হতে দুই ভাগে ভাগ হয় আধুনিক হাতি ও ম্যামাথের লেটেস্ট প্রজাতি ৷যখন বরফ যুগ শেষ তখন ম্যামাথ দের জন্য পৃথিবীর পরিবেশ প্রতিকুল হয়ে দারায় এবং তারা বিলুপ্ত হয়ে যায় ৷ তেমন ভাবে বানর,শিমপাঞ্জি,হনুমান,মানুষের আদি প্রানি বা আদিম তম প্রাইমেট হল গেছো চিকা ৷এটা বানরও নয় মানুষ ও নয় ৷আর এপ্রানিটা পরিবেশ প্রতিকুলের জন্য এখন বিলুপ্ত ৷বলা যায় বানর ও মানুষের উৎপত্তি অন্য প্রানি থেকে ৷তাই বানর থেকে যে মানুষের জন্ম বলে যে ধারনা আছে এটা একেবারেই ভুল ৷এবার মুমিনরা বলবে তাইল মানুষ গেছো চিকা হয়ে যাচ্ছে না কেন ? একটা প্রানির বিবর্তন কখনো পিছনে যায়না যদি না পরিবেশ আগের মত হয়ে যায় ৷এখানে বোঝা যাচ্ছে প্রানির বিবর্তনে পরিবেশ একটা প্রভাবক ৷যদি পৃথিবীর পরিবেশ হঠাৎ করে গেছো চিকা যখন ছিল তখনের মত হয়ে যায় তবে মানুষ প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য মারা যাবে ৷আর আস্তে আস্তে যদি পরিবেশের অবস্থা অতিতে ফিরে যায় তবে মানুষের দুই কি তিন প্রজাতি হবে ৷একটা গেছো চিকার দিকে যেতে পারে ৷তবে এমন হলেও লক্ষ লক্ষ বছরের ব্যপার ৷আগেই বলা হয়েছে প্রানির বিবর্তন প্রতি সময়ে হয় বটে কিন্তু সেটা উপল়ব্ধি করতে গেলে কয়েক লক্ষ বছর সময় লাগবে যা লাইফটাইমে বোঝা সম্ভব না এবং চোখের পলকেই একটা প্রানি আরেকটা প্রানিতে রুপান্তর হয়না ৷তেমনই চোখের পলকে গেছো চিকাথেকে মানুষের উৎপত্তি হইনি যে চোখের পলকে আবার মানুষ গেছো চিকা হবে ৷আর এখন যেহেতু পরিবেশের উপাদান অতিতের মত হবে না তাই মানুষ গেছো চিকাকাও হবে না ৷


No comments:

Post a Comment