আমার ওয়েব

Thursday, July 31, 2014

আদিম প্রবৃত্তি ____________ জীবনের বেসিক ফরমুলা ডি,এন,এ ৷যা শুধু মাত্র বিভিন্ন ধরনের প্রটিন সংশ্লেষন করে ৷আপনারা হয়তো জানেন ভারতের এক বিজ্ঞানী" হর গোবিন্দ খোরেনা "কত্রিম ডি,এন,এ তৈরী করেছিল ৷ অনেকের ভ্রান্ত ধারনা যে- ডি,এন,এ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণ করে ৷মানে চোর,ডাকাত,গুন্ডা,ভাল,সৎ,নিষ্ঠুর হওয়া নির্ভর করে ডি,এন,এর উপর ৷ কিন্তু আসল ব্যপার হল ডি,এন,এ এই ধরনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণ করেনা ৷ নিয়ন্ত্রন করে প্রানির /মানুষের বাহিক্য বৈশিষ্ট্য ৷যেমন:চুল লাল হবে না কাল হবে ৷দেহের আকার লম্বা হবে কি খাট হবে ৷মোটা হবে কি চিকনা হবে ৷দারি কম হবে কিনা বেশি হবে এই সব হাবি যাবি বিষয় ৷ কিন্তু একটা ব্যপার তাও থেকে যায় ৷মস্তিষ্কের প্রাথমিক গঠন নিয়ন্ত্রণ করে ডি,এন,এ ৷ আর একারনেই পূর্ব পুরুষের মস্তিষ্ক গঠনের সাথে পরের প্রজন্মের পুরুষের মস্তিষ্ক গঠনের কিছু মিল থাকে ৷আর মস্তিষ্কের গঠন যেহেতু আমাদের চরিত্র বৈশিষ্ঠ্য নিয়ন্ত্রণ করে তাই কিছু কিছু চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য আমরা পূর্ব পুরুষ থেকে পেয়ে থাকি ৷যেমন:সাপ দেখে ভয় পাওয়া,সাহসি বা ভিতু হওয়া এধরনের বৈশিষ্ট্য গুলো ৷ আরেক ভাবে বলা যায় গর্ভ থেকে বের হওয়ার আগে মস্তিষ্কের যে অংশ গুলো গঠিত হয় বা ভ্রুন অবস্থায় মস্তিস্কের যে অংশ গুলো গঠিত হয় , সেই অংশ গুলো যে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণ করে শুধু মাত্র সে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য গুলোই ডি,এন,এ নির্ভর বলা যায় ৷তার পরও এটা প্রত্যক্ষ না বলে পরোক্ষ উপায়ে বলা চলে ৷কারন ঐ অংশগুলোও ডি,এন,এর প্রটিন সংশ্লেষণের ফলে তৈরী ৷ফলে একই পরিবারের সদস্যদের ঐ অংশের গঠনে মিল থাকে ৷এ কারনেই ঐ চরিত্রগুলোকে এদের আদিম প্রবৃত্তি বলে ৷ কয়েকটা উদাহরন দিলে বোঝা যাবে: *কাঁকরা ডিম থেকে বের হয়েই নদির তিরে ওঠে ৷ *টিকটিকির বাচ্চা ডিম থেকে বের হয়েই সমস্ত কিছু চিনতে পারে ৷এবং পালানোর চেষ্টা করে ৷ *প্রানির যৌন চরিত্র ;দেখা যায় আমাদের যৌন ঘটিত ব্যপার গুলোয় কেউ ধারনা না দিলেও আমরা নিজেরা কিছুটা হলেও শিখে যাই ৷কি ভাবে কি করতে হয় বুঝে যাই আমার কিছু দিন থেকে মনে হচ্ছে অতিপ্রাকৃতিক জিনিসে বিশ্বাসও আদিম প্রবৃত্তি ৷আদিম মানুষ তার জ্ঞানের বাইরে কোন ঘটনা ঘটলে সেটার কারন অনুসন্ধান না করে ঈশ্বরের কাজ কারবার মনে করতো, আর সেই সিস্টেম এখনো মানুষের মাঝে আছে ৷ যার কারনে অনেক মানুষ যতই ব্রেনবাজ টেলেন্ট হোকনা কেন, তার ব্যখ্যা অতিত কাজ গুলোকে অলৌকিক মনে করে ৷কিন্তু বিজ্ঞান আরও উন্নত হয়ে যখন এগুলোর ব্যখ্যা দিতে পারবে তখন তো আর এগুলো অলৌকিক থাকবেনা ৷ যেমন:এক সময় মেঘ হতে ব্রজ পাতকে মনে করা হত দেবতা ডিউসের অস্ত্র ৷কিন্তু বিজ্ঞান যখন এর ব্যখ্যা দিতে পারলো তখন আর এটা অলৌকিক থাকলোনা ৷ তা যা হোক কিছুদিন আগে নুর হোসেন নামে একজনকে কুরান পরতে বলেছিলাম এবং বলেছিলাম পরলে বুঝবে ভাওতা গিরি ৷তো অত্যধিক টেলেন্টেট হওয়ার কারনে নুর মহাবদের ভাওতা ধরতে পেরেছে ৷কিন্তু তার কথা হল ঈশ্বর নামে কোন প্রানি :-D ঠিকই আছে যে কিনা মহাবিশ্বের সৃষ্টি কর্তা ৷ আমি মনে করি একে আর বোঝানো যাবেনা ৷মনে করেছিলাম হয়তো হবে নাস্তিক কিন্তু হলো কিনা সেকুলার ৷ আমার পরিবারেও নিশ্চই সন্ধেহ বাতিকের জিন আছে ৷কারন আমরা কাউকে পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারিনা ৷যার ফলেই হয়তো আমি নাস্তিক ৷ :-P তাইলে বলেন এগুলো আদিম প্রবৃত্তি কিনা?


No comments:

Post a Comment