Monday, July 7, 2014
আপনাদের মাঝে অনেক দিন আসতে পারেনি বিভিন্ন ব্যস্ততায় ৷আমার কিছুদিন ধরে জ্যাক হ্যারিস স্যারের পিছন পিছন ঘুরতে হচ্ছে ৷তিনি বিভিন্ন কনফারেন্সে যাচ্ছেন এবং আমাকে সাথে নিচ্ছেন ৷তো ঘোরা ঘুরির ফলে এদেশের অনেক জিনিস খেয়ালে আসলো আরও ভালভাবে ৷ প্রথমত এখানেও ধার্মিক মুমিন আছে ৷তারা বেশ জ্বোবা,টুপি পরে দারি ঝুলে পথ দিয়ে মোটা মুটি গর্বের সাথেই হাটে ৷এমন একজনের সাথে আমার দেখা হয়েছিল আলবার্টা যাওয়া কালিন এক বাসে ৷ আলবর্টা যাচ্ছি স্যারে পাশে বসে, স্যার আমাকে নানা থিউরি বোঝাচ্ছে এবং গেজে ঠোটের দুই পাশদিয়ে গ্যাজা বাইর করে ফেলছে ৷আমিতো কিছু বুঝছিনা শুধু বাসের ধাক্কায় ধাক্কায় পাথা নারাচ্ছি (এরা কথা বলতে ভাল বাসে এবং এদের মানুষ ও কথা শুনতে ভালবাসে ৷তাই যদি কেউ কথা না শোনে তখন বক্তা রাগ করে ৷তাই আমাকে কষ্ট করে না শুনেও শোনার ভান করতে হচ্ছে আরকি!) তো বাস একটা স্টপসে থামলো ৷দেখলাম বেশ এক সাস্থ্যবান মুমিন এবং তার পিছে দুই জন মহিলা (আগাগোরা বরখা নামক কাল বস্তায়,ও হাত মোজা এবং পা মোজা দিয়ে ঢাকা,আর মুখের সামনে কাল নেট) তারা বাসে উঠলো ৷বুঝলাম এরা খুব সম্ভাবত কোন তেল বেচে বর লোক হওয়া দেশের নাগরিক এবং ওখান থেকে এখানে আসছে ৷এজন্য অন্যদের ফকির মিচকিন মনে করে ৷বুঝলাম তখনই যখন মুমিন পুরুষটা কনটাকটর করে বল্ল : বাসে সিট কোথায় ?আমি তিনটা সিট চাই এখোনি৷আর তিনটা না হলে একটা ৷যত টাকা লাগুক৷ বা কি আল্লার বান্দা,লোকের সিট থেকে উঠিয়ে উনি বসবার চান ৷এজন্য তো ঐ তেল উপমহাদেশের লোক গুলো জঙ্গি হয় ৷আমাদের দেশের শিবির কর্মিদের যদি এমন টাকা থাকতো তবে এরা হত সব চেয়ে হিংস্র জঙ্গী গুষ্টির সদস্য ৷ কনটাকটার বল্ল এটা সম্ভব নয় মহাশয় ৷এখানে যারা বসে আসে সবাই আমাদের চোখে সমান ৷ তো একথা শোনার পর ৷ধনি মুমিনটি তার পালোয়ান সাস্থ্য নিয়ে দারিয়ে থাকলো ৷তার চোখের দিকে এক বার চোখ পরলো দেখলাম দেখলাম সে চোখে মানুষের প্রতি ঘৃনা ছারা কিছু নেই ৷সম্ভাবত উনি নিজেকে আল্লার বিশাল বান্দা মনে করে এবং এজন্য তিনি মনে করেন তার একটা সিট প্রাপ্য ৷তাই মনে হয় যখন কেউ ঐ মুমিনকে দেখে কেয়ার না করে সিট না ছারার কারনে সবার উপর উনি বিরক্ত ৷ তার কিছু সময় পর একটা স্টপস আসলো ৷দেখলাম আমার পাশের এক জিন্স ও টিশার্ট পরা মহিলা এবং মনে হয় তার বয় ফ্রেন্ড উঠে দারালো ৷(বয় ফ্রেন্ড মনে হওয়ার কারন, তারা একই সিটে বসে ছিল এবং একই সাথে স্টপসে নামবে বলে উঠে দারালো) তো তারা সামনের গেট দিয়ে বের হতে যাচ্ছে ৷দেখলাম সাস্থাবান মুমিনটি তার দেহ বাসের একদিকে চেপে ধরে স্থান ছেরে দেওয়ার ব্যার্থ চেস্টায় আছে ৷এমন সময় জিন্স পরা মেয়েটা সংকৃন্য পথ দিয়ে যাওয়ার ফলে সাস্থ্যবান মুমিনটির দেহ স্পর্শ করলো ৷সংঙ্গে সংঙ্গে মুমিনটা এত জোরে চিৎকার করে নাউজুবিল্লা বলে উঠলো যে বাসের ড্রাইভার পর্যন্ত ভয় পেয়ে কেপে উঠলো ৷মনে হয় কেউ প্যান্টে হিসিও করলো ৷অন্তত্য আরেকটু জোরে হলে আমি তো করতাম ৷ এবার দুইটা সিট খালি ৷ মুমিনটি একাই সিট দখল করে বসে পরলো ৷এবং দুই বরখা ওয়ালি পাশে দারিয়ে থাকলো ৷ এভাবে প্রায় দেরশ কিলোমিটার বাস চল্ল ৷এবং মুমিনটি একাই দুই সিট দখল করে বসে থাকলো ৷তার স্ত্রী দ্বয় তার পাশে ওত সময় দাসির মত দারিয়ে থাকলো ৷একটাও কথা বললনা ৷ এই হল ইসলামের বাস্তব রুপ ৷এতে আবার ইসলাম নাকি দিয়েছে নারিদের সর্বচ্চ মর্যাদা ৷তাইলে ইসলাম মতে কি এই হল নারিদের মর্যাদা ?যেখানে এক মুমিন তার স্ত্রীদের অনুভুতি বোঝার চেস্টা করলো না ৷এরা তো নারিকে উটের চেয়ে অধম মনে করে ৷
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment